পোস্টগুলি

কুরবানি

ছবি
আল্লাহকে খুশী করা এবং তাঁর নির্দেশ পালন করার উদ্দেশ্যে তাঁরই নামে নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পশু যবেহ করাকে উযহীয়্যাহ বা কুরবানি বলে। কুরবানির ইতিবৃত্ত:  আল্লাহ পাক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আম্বিয়ায়ে কেরাম গনকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছেন, তাঁদের মধ্যে হযরত ইবরাহীম আ: এর পরীক্ষা উল্লেখযোগ্য ও চিরস্মরণীয়। তাঁর পরীক্ষাসমূহের মধ্যে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল আ: কে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানীর নির্দেশ দেয়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় হযরত ইবরাহীম আ: , ইসমাইল আ: এবং হাজেরা আ: অর্থাৎ গোটা পরিবারটিই আল্লাহর নির্দেশকে যথাযথভাবে পালন করেছেন। আল্লাহর নির্দেশ পালনে তাঁদের জীবনের মায়া-মমতা আদৌ স্থান পায়নি। তাঁরা আল্লাহর অসাধারণ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও আনুগত্যের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি এ কথা যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও মরণ বিশ্বপালকের জন্যই। ’ (আনআম-162) তাই আল্লাহ তায়ালা তাঁ অন্তরের কুরবানি কবুল করে পুত্র ইসমাইল আ: এর জীবন উপহার দিয়ে পশু কুরবানির মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত এ সুন্নত জারি করে দিয়েছেন।

উপদেশ গল্প- তোতার কষ্ট

ছবি
তোতার কষ্ট                   -মোঃ মিনহাজ উদ্দীন সবুজ শ্যামল সুন্দর পরিবেসে স্বাধীন ভাবে উড়ে চলে এক পাখি- তোতা। সেই হঠাৎ বন্দী হয় এক শিকারীর হাতে। তাকে বন্দী করে রাখা হয় এক নীরব কুঠিরে। এভাবেই কাটে তার জীবন। প্রতিদিনই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারই অসংখ্য সাথীরা খোলা আকাশে উন্মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘোরাফেরা করে। আবার সাঝের বেলাই আপনা নীড়ে ফিরে যায়। তার দুঃখের কথা শুনারমত যেনো কেউ নেই। অজশ্রু ঝড়ে পড়ছে তার ছোট দু’টি আঁখি হতে। কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় তোতা নিথর হয়েগেল, হঠাৎ একটা ক্ষীন আওয়াজের প্রতিধ্বনীতে তোতা প্রাণ বন্ত হল। খাচার পাশে টুনটুনি উপস্থিত। তোতাঃ তুমি এখানে এলে কিভাবে? টুনটুনিঃ জানালার ছোট ফাক দিয়ে। তুমি কেমন আছ তোতা ভাই? তোতাঃ ভালোনা, একদম ভালোনা, খুবই  ব্যথিত হৃদয়ে কথাটি বল্ল তোতা- মানুষতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। তারা কি আমাদের মত ক্ষুদ্র জীবের দুঃখটুকু বুঝেনা। কেনো আমাদেরকে আটকিয়ে রেখে স্বাধিনতা হনন করে। কেন তারা দুঃখের নদীতে ভাসাই আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত। ভাই টুনটুনি! তুমি আমার মত অসংখ্য সাথীদের দুঃখের কথাগুলো শ্রেষ্ঠ জীবকে জ

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যাঃ প্রাসঙ্গিক ভাবনা

ছবি
ড.আবদুল আলীম তালুকদার     অষ্টম শতাব্দী থেকে মিয়ানমারের (বার্মা) আরাকান (রাখাইন) প্রদেশে আরব, মোগল, তুর্কি, পর্তুগিজসহ বিদেশি বণিক ও সৈন্যবসতি স্থাপন করে। পনের শতকের দিকে এই বসতির বেশির ভাগ অধিবাসী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং নিজস্ব শিল্প-সংস্কৃতি গড়ে তোলে; এরাই রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। রোহিঙ্গারা পশ্চিম মিয়ানমারের (ব্রহ্মদেশ) আরাকান (রাখাইন) রাজ্যের উত্তরাংশে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী এবং এ রাজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জুড়ে তাদের বসবাস। মিয়ানমারের সরকারি হিসেব মতে, প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা আরাকানে বসবাস করে। রোহিঙ্গা আদিবাসিরা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর একটি।      ঐতিহাসিক সূত্রে প্রমাণিত যে, খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আরব বণিক ও ধর্মপ্রচারকগণ নৌপথে আরাকানে এসে ধর্মপ্রচার ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সেখানকার উপকূলীয় অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। প্রথম মুসলিম জনবসতি হিসেবে আরব ফার্সি, ইউরোপীয় এবং চীনা পর্যটকদের রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হয় নবম শতাব্দীতে। বর্মি মুসলিম ব্যবসায়ী ও ধর্ম প্রচারকদের অনেকে এখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং ঔপনিবেশিকরা অনেক মুসলমানকে ব

কম্পিউটারের ইতিহাস

কম্পিউটারের সুচনা বেশীদিন আগের কথা নয়, যখন মানুষ প্রকৃতির কাছে ছিল অসহায়। তারা বেঁচে থাকতো জঙ্গলের ফলমুল অথবা কাঁচা মাংস খেয়ে। ধীরে ধীওে তারা শক্তির ব্যবহার শিখলো। ্আগুনের ব্যবহার মানুষের জীবন প্রণালী পাল্টে দিল। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বড় ধরনের বিপদেও বিরূদ্ধে আগুনই ছিল প্রধান অস্ত্র। আগুনই সভ্যতার চাকা ঘুরালো। পরবতীতে বিদ্যুৎ এসে ঘটিয়ে দিল আমূল পরিবর্তন। এখনকার দিন কম্পিউটারের দিন অর্থাৎ ডিজিটাল লাইফ। এটি ব্যবহৃত হচ্ছে- অফিসে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, হাসপাতা, পুলিশ ষ্টেশন, মহাকাশ ষ্টেশনসহ সকল ক্ষেত্রে । যোগাযোগ রক্ষা, সময় গণনা, বিনোদনসহ সকলক্ষেত্রে রয়েছে এর ব্যবহার। চলুন প্রথমে খুব সংক্ষেপে আনুসাঙ্গিক নিয়ে সামান্য  আলোচনা করা যাক। কম্পিউটার হলো আধুনিক বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর আবিস্কার। এটা হচ্ছে বিশেষ ধরনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।

মা ও সভ্য পৃথিবীর মায়েরা

                                                                মা ও সভ্য পৃৃথিবীর মায়েরা                                                           খান মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম মা।  একটি মধুর ধ্বনি! হৃদয় বীণায় যে সুর শোনি। কি যে সুখের ব্যঞ্জনা আছে এ অযুগ্ম ধ্বনিতে! কি যে সুধা আছে সে মায়ার আকর, ভালবাসার খনিতে! পৃথিবীর অতুলনীয় একটি নামÑ সে কি মিষ্টি অভিরাম! যে নাম উচ্চারণ করতেই আত্ম-তৃপ্তিতে বুক ভরে ওঠে। মুখে হাসি ফোটে। মাকে ডাকলে যেন বুকে শান্তি পাই। মুখে মজা পাই। হাজারো ক্লান্তি কেটে যায়Ñ সহসা! মা বলে মুখ খোলার সাথে সাথেই যেন হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ারও খোলে যায়। দু:খ-বেদনা, কষ্ট-যাতনা, স-ব ভুলে যাই। যে কি সুখ পাই! সে তৃপ্ত অনুভূতি ব্যক্ত করার ভাষা আমার জানা নাই। নওল হাতের দুর্র্র্বল লিখনীর আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতে আমি একদম নিরুপায়। আনন্দের আতিশয্যে যেন কোথাও হারিয়ে যাই। আমার বিস্তৃত ভাষারাজ যেন মুহূর্তেই ফুরিয়ে যায়। কল্পনার ব্যাপ্ত পরিধিও সংকোচিত হয়ে আসেÑ যার পাশে। থমকে দাঁড়ায় সে নামের শীতল ছায়ায়Ñমগ্ধ আঙ্গিনায়। মা কথাটি খুব ছোট্ট। কিন্তু তার গভীরতা, ব্যাপকতা আর বিশালতা সুদূর বিস্তৃত। ব্যাপ্ত প্র

শর্টকাট মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

১) Ctrl + N ঃ- MS Word এ নতুন একটি ডকুমেন্ট আনার জন্য ব্যবহার হয় । ২) Ctri + Enter ঃ MS Word এ নতুন একটি পেজ আনার জন্য ব্যবহার হয় । ৩) Ctrl + W ঃ- MS Word এর কোন ডকুমেন্ট কে ক্লোজ করার জন্য ব্যবহার হয় । ৪) Ctrl + S ঃ- MS Word এর কোন ডকুমেন্ট সংরক্ষন (Save) করে  রাখার জন্য ব্যবহার হয় । ৫) Ctrl + Shift + S ঃ- MS Word এ Save As কমান্ডের জন্য ব্যবহার হয় , আর Save As কমান্ডটি পূর্বেই Save করা কোন ডকুমেন্টকে পূনরায় অন্য জায়গায় বা অন্য নামে Save করার কাজে ব্যবহার করা হয় । ৬) Ctrl + O ঃ- MS Word এ Save করা কোন ডকুমেন্টকে ওপেন করার জন্য ব্যবহার করা হয় । ৭) Ctrl + C ঃ- MS Word এর কোন লেখা অন্য কোন জায়গায় নেওয়ার জন্য (Copy) ব্যবহার করা হয়, অবশ্যই সে লেখা সিলেক্ট করে নিতে হবে । ৮) Ctrl + X ঃ- MS Word এর কোন লেখা এক জায়গা থেকে মুছে  অন্য জায়গায় নেওয়ার জন্য (cut) ব্যবহার করা হয়, অবশ্যই সে লেখা সিলেক্ট করে নিতে হবে । ৯) Ctrl + V ঃ- MS Word এর কোন লেখা Copy অথবা Cut করে অন্য জায়গায় রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় । ১০) Ctrl + P ঃ- MS Word এর কোন ডকুমেন্ট প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহার করা হয় । ১১